ক্রেনের প্রকারভেদ
ক্রেন প্রধানত দুই প্রকার ১. মোবাইল ক্রেন ২. স্টেশনারি ক্রেন
১. মোবাইল ক্রেন
মোবাইল ক্রেন হল এমন ক্রেন যে গুলিকে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। এ ক্রেন কে বিভিন্ন কাজের জন্য সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় । যেমন টায়ার মউন্টটেড ক্রেন , ক্রলার ক্রেন ইত্যাদি।
ভিবিন্ন প্রকার মোবাইল ক্রেন :
১. ট্রাক মাউন্টেড ক্রেন :
ট্রাক মাউন্টেড ক্রেন হল ট্রাকের উপর ক্রেন মাউন্টেড হয় এ জন্য একে ট্রাক মাউন্টেড ক্রেন বলে। সামনে ট্রাকের মত আর পিছনে ক্রেন মাউন্টেড করা। এ ধরণের ক্রেনকে সহজে এক জায়গায় আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় এবং কাজ করা যায়।
২. ক্রলার ক্রেন :
ক্রলার ক্রেন ক্রেন হল যেটা ক্রলারের উপর ফিক্সড হয় তাকে ক্রলার ক্রেন বলে। হেভি লিফটিং এর জন্য এ ক্রেন ব্যবহার করা হয়। ক্রলার ক্রেন যে কোন রকম লোডকে উঠিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরিয়ে স্থানান্তর করতে পারে।
৩. হাইড্রা ক্রেন
একে আমরা পিক এন্ড কেরি ক্রেনও
বলতে পারি। এ ক্রেন দিয়ে লোড কে বহন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়
তাই এ ক্রেন কে হাইড্রা ক্রেন বলে।
৪. অল টেরেইন ক্রেন
অল টেরেইন ক্রেন ফোর হুইল
ড্রাইভ সিস্টেমের হয়। এক স্টিয়ারিং দিয়ে চারো টায়ার কে কন্ট্রোল করা যায়। এতে টেলিস্কোপিক
বুম এবং হাইড্রোলিক পাওয়ার আছে। এটি মোবাইল
ক্রেন। টায়ার থাকাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
২. স্টেশনারি ক্রেন
স্টেশনারি ক্রেন হল এমন ক্রেন যা এক জায়গায় ফিক্সড হয়। এ ক্রেন কে আমার সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারি না অন্য কেন কাজের জন্য। যেমন টাওয়ার ক্রেন , ক্রলার ক্রেন ইত্যাদি।
১. টাওয়ার ক্রেন :
কনস্ট্রাকশন কাজের উঁচু বিল্ডিং কাজের জন্য টাওয়ার ক্রেন ব্যবহার করা হয়। টাওয়ার ক্রেন ২ অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে ১. ভার্টিকাল পার্ট ২. হরিজেন্টাল পার্ট। ভার্টিকাল পার্ট কংক্রিটে ফিক্সড হয়ে থাকে। হরিজেন্টাল পার্টের আগে বুম হয় আর পিছে কাউন্টার ওয়েট আছে তা কংক্রিটে সংযুত্ত থাকে যাতে সে লোড ও ক্রেন কে ব্যালান্স করতে পারে।
২. ওভারহেড ক্রেন :
ওভারহেড ক্রেন কে EOT ক্রেন ও বলা হয়। মেনুফেকচারিং ইউনিট বা মেনটেনান্স ইউনিট এ ধরণের ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
৩. রেলরোড ক্রেন:
রেলরোড ক্রেন রেলের উপর ফিক্সড করা হয়। রেলওয়ের ওয়ার্কশপে এটি ব্যবহার করা হয়। রেলের যে কোন ধরণের মেন্টেইনান্স এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা লোড বহন করে নিতে এ ধরণের ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
৪. ফ্লোটিং ক্রেন
এ ধরণের ক্রেন শিপ ইয়ার্ডে ব্যবহার করা হয়। এ ক্রেন শিপের উপর মাউন্টেড হয়। পানিতে কোন মেন্টেইনান্স করা এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা লোড বহন করে নিতে এ ধরণের ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
৫. গেনট্রি ক্রেন
গেনট্রি ক্রেন
রেলের
উপর
ফিক্সড
করা
হয়।
এটি
ফিক্সড
এরিয়াতে মুভ
করতে
পারে।
কোন
ফিক্সড
এরিয়াতে মেন্টেইনান্স করা
এবং
এক
জায়গা
থেকে
অন্য
জায়গা
লোড
বহন
করে
নিতে
এ
ধরণের
ক্রেন
ব্যবহার করা
হয়।
ক্রেনের ভিবিন্ন অংশের নাম :
অপারেটর কেবিন, ক্যারিয়ার কেবিন, আউট রিগার, আউট রিগার পেড, আউট রিগার লিফ্ট সিলিন্ডার, কাউন্টার ওয়েট, মেইন সেকশন বুম, ১ থেকে ৪ টেলিস্কোপিক সেকশন, ৫ টেলিস্কোপিক সেকশন, মেইন বুম হেড ,মেইন লোড লাইন, লোড ব্লক, বুম হইস্ট বা লিফ্ট সিলিন্ডার, মেইন হইস্ট উইঞ্চ, অক্সিলিয়ারি হইস্ট উইঞ্চ, মেইন হইস্ট লাইন, অক্সিলিয়ারি হইস্ট লাইন, মেইন হুক, অক্সিলিয়ারি হুক, হুক লেটস, এন্টি টু ব্লক।
ক্রেনের ক্যাপাসিটি কিভাবে বের করা হয়
ক্রেনের রেডিয়াস কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের হাইট কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের লেন্থ কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের বুম লেন্থ ১৫ মিটার এবং বুম হাইট ১০ মিটার হলে বুম রেডিয়াস কত ?
পিথাগোরামস থেরাম দিয়ে এটি বের করা যায়।
ডান এঙ্গেলের বিপরীত পাশে হয় তার বরাবর হয় যেটি থাকে তার বাম পাশের লিফটিং প্ল্যান কিভাবে করা হয়
ক্রেনের সাহায্যে কিছু লোড উঠাতে হলে ক্রেনের লোড কেপাসিটি কিভাবে বের করতে হয়
যখন কোন মেটেরিয়াল কে ক্রেন দিয়ে উঠানো হয় তখন লিফটিং প্ল্যান ব্যবহার করা হয়। লিফটিং প্ল্যান বানানোর আগে আগে আমাদের জানতে হবে।
১. ক্রেনটি কোন ক্রেন ২. ক্রেনের ক্যাপাসিটি কত। এটি কি ৫০ টন ৭০ টন।
৩. যে মেটেরিয়াল টি উঠাব তার ওজন কত তা জানতে হবে।
৪. হুক ব্লকের ওজন কত তা জানতে হবে।
৫. লোড চার্ট সম্পর্কে জানতে হবে কারণ যখন ক্রেনের বুমের লেন্থ বাড়ে বা বাড়তে থাকে তখন ক্রেনের লিফটিং ক্যাপাসিটি কমে বা কমতে থাকে।
৬. ক্রেনের বুম লেন্থ কত তা জানতে হবে।
৭. ক্রেনের রেডিয়াস কত তা জানতে হবে।
উপরের ইনফরমেশন গুলি জানা থাকলে লিফটিং প্ল্যান সঠিক ভাবে করা যায়।
ক্রেনের রেডিয়াস , বুম লেংন্থ , বুম হাইট কিভাবে বের করা হয় ক্রেনের রেডিয়াস কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের হাইট কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের লেন্থ কিভাবে ক্যালকুলেট করব
ক্রেনের বুম লেন্থ ১৫ মিটার এবং বুম হাইট ১০ মিটার হলে বুম রেডিয়াস কত ?
পিথাগোরামস থেরাম দিয়ে এটি বের করা যায়।
সূত্র সমূহ ঃ
রেডিয়াস2 = বুম লেংন্থ2 - বুম হাইট2
বুম লেংন্থ2 = রেডিয়াস2 +
বুম হাইট2
বুম হাইট2 = বুম লেংন্থ2 - রেডিয়াস2
রেডিয়াস2 = বুম লেংন্থ2 - বুম হাইট2
বুম লেংন্থ2 = রেডিয়াস2 + বুম হাইট2
বুম হাইট2 = বুম লেংন্থ2 - রেডিয়াস2
Crane hazard and pre
https://www.youtube.com/watch?v=WC1JmFhqdT0&list=PLU5yUguLcxGf2t-0CxY33c4i91-dK0WVG&index=100
https://www.youtube.com/watch?v=OUiOfYNWos8&list=PLU5yUguLcxGf2t-0CxY33c4i91-dK0WVG&index=164
https://www.youtube.com/watch?v=1oguU4nkJ1c
https://www.youtube.com/watch?v=w6Xob7PwdWk
https://www.youtube.com/watch?v=oPUcUJyALSQ
No comments:
Post a Comment